ভিসা করতে কি কি লাগে এবং কিভাবে ভিসা আবেদন করতে হয়?
ভিসা করতে কি কি লাগে সেটা সম্পূর্ণ নির্ভর করে আপনি কোন দেশের নাগরিক, কোন দেশে যেতে ইচ্ছুক এবং কোন কারণে যাবেন ইত্যাদি বিষয়ের উপর। যে কোনো দেশে ভ্রমণ করতে চাইলে কিছু আবশ্যিক কাগজপত্রের প্রয়োজন হয়। তাই এই পোস্টে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো ভিসা কিভাবে করতে হয় এবং কি কি কাগজপত্র লাগে—জানতে মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
ভিসা করতে কি কি লাগে?
নিম্নে এমন কিছু আবশ্যিক কাগজপত্রের তালিকা উল্লেখ করা হলো, যেগুলো বিশ্বের যেকোনো দেশের ভিসা আবেদন করতে সাধারণত প্রয়োজন হয়:
- কমপক্ষে ছয় মাস মেয়াদি একটি বৈধ পাসপোর্ট
- সম্পূর্ণ পূরণকৃত ভিসা আবেদন ফর্ম
- সাম্প্রতিক তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- ভিসার উদ্দেশ্য সম্পর্কিত প্রমাণপত্র (যেমন স্টুডেন্ট অফার লেটার, ওয়ার্ক পারমিট ইত্যাদি)
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট
- মেডিকেল সার্টিফিকেট
- জাতীয় পরিচয় পত্র
- করোনা টিকা সনদ (সব ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়)
- জন্ম নিবন্ধন সনদ
- ব্যাংক স্টেটমেন্ট বা আর্থিক সাপোর্টের প্রমাণ
ভিসার ধরন, আবেদনকারীর জাতীয়তা এবং ভ্রমণের উদ্দেশ্যের উপর ভিত্তি করে উপরের কাগজপত্রের সাথে আরও অতিরিক্ত ডকুমেন্টস লাগতে পারে। যেমন স্টুডেন্ট ভিসার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অফার লেটার, IELTS/TOEFL স্কোর; ওয়ার্ক ভিসার জন্য চাকরির অফার লেটার, চুক্তিপত্র ইত্যাদি।
ভিসা কিভাবে করতে হয়?
ভিসা করার প্রক্রিয়া মূলত ভ্রমণের উদ্দেশ্য, গন্তব্য দেশ এবং আপনার নাগরিকতার উপর নির্ভর করে। নিচে সাধারণভাবে ভিসা করার ধাপগুলো তুলে ধরা হলো:
১. দেশ নির্বাচন
প্রথম ধাপে নির্ধারণ করতে হবে আপনি কোন দেশে যেতে চান এবং কেন। এরপর সেই দেশের নির্দিষ্ট নিয়ম অনুযায়ী আপনি প্রস্তুতি নিতে পারবেন।
২. ভিসা ক্যাটাগরি নির্বাচন
ভ্রমণের উদ্দেশ্য অনুযায়ী ভিসা ক্যাটাগরি নির্ধারণ করতে হবে। যেমন:
- ভ্রমণ ভিসা (Tourist Visa)
- স্টুডেন্ট ভিসা (Student Visa)
- ওয়ার্ক পারমিট (Work Visa)
- মেডিকেল ভিসা (Medical Visa)
- ইমিগ্র্যান্ট ভিসা (Permanent Residence)
৩. প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ
ভিসা ক্যাটাগরি অনুযায়ী কাগজপত্র প্রস্তুত করতে হবে। এই ধাপের জন্য আপনার ভিসার উদ্দেশ্য, দেশ এবং প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী ডকুমেন্ট সংগ্রহ করতে হবে।
৪. ভিসা আবেদন
অনলাইনে বা দূতাবাসে সরাসরি গিয়ে ভিসা আবেদন করা যায়। অনেক দেশে ভিসার জন্য নির্ধারিত সরকারি ওয়েবসাইট রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ: www.visa.gov.bd
৫. সাক্ষাৎকার প্রদান
কিছু কিছু দেশ সাক্ষাৎকার গ্রহণ করে থাকে। সেখানে ভ্রমণের কারণ, পরিকল্পনা ও অর্থনৈতিক সামর্থ্য সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়।
৬. ভিসা সংগ্রহ
সাক্ষাৎকার ও যাচাই-বাছাই শেষে কিছুদিনের মধ্যেই পাসপোর্টে ভিসা লাগানো অবস্থায় পেয়ে যাবেন। প্রসেসিং টাইম দেশভেদে ভিন্ন হয়।
আরও পড়ুন:
আশা করছি, এই পোস্টের মাধ্যমে আপনি ভিসা কিভাবে করতে হয় এবং ভিসা করতে কি কি লাগে তা ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন। কোনো প্রশ্ন থাকলে নিচে কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ!